ঝিনাইদহে পু’লিশের বি’রুদ্ধে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে লা’ঞ্ছিত করার অ’ভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ঘ’টনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ে। লা’ঞ্ছনার শিকার চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন শৈলকূপা উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকও।
বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সংগৃহীত সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, হাসপাতালের সামনে কয়েকজন রোগীর স্বজন দাঁড়িয়ে আছেন। সেখানে ইজিবাইক যোগে শৈলকূপা থানার এস আই শাখাওয়াত, এসআই রফিক এবং এএসআই রেজওয়ানুল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে হাজির জন। সেখানে থাকা রোগীর স্বজনদের এসআই শাখাওয়াত আ’টক করতে পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দেয়।
পুলিশ সদস্যরা তাদের আ’টক করে ইজি-বাইকে ওঠাতে থাকে। এসময় দূর থেকে বিষয়টি জানতে চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন কাছে এলে কোনো কথা না বলে এসআই শাখাওয়াত মামুনকে ধা’ক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এসময় এসআই রফিক এবং এএসআই রেজওয়ানুলসহ পুলিশ সদস্যরা চেয়ারম্যানকে মা’টিতে ফে’লে লা’থি ও কি’ল ঘু’ষি মা’রতে মা’রতে ই’জি-বাইকে তুলে নেয়।
ঘ’টনার সময় স্থানীয় লোকজন ও স্থানীয় এক সংবাদ কর্মী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পু’লিশ চেয়ারম্যানকে ছেড়ে অন্যদের আটক করে নিয়ে যায়। ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন বলেন, সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সোমবার রাতে পুরাতন বাখরবা গ্রামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীর উপর হা’ম’লায় চালায় প্রতিপক্ষরা।
এসময় ওই গ্রামের মিনান হোসেন এবং মওলা নামের দুই জন আ’হ’ত হয়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আ’হ’তদের উ’দ্ধার করে শৈলকূপা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। আমি রাতে আ’হ’তদের হাসপাতালে দেখতে যাই। রাত আ’নুমানিক ১২টার দিকে শৈলকূপা থানা পু’লিশ হাসপাতাল চত্বরে এসে রোগীর স্বজনদের আ’টক করে।
আমি দূর থেকে কাছে আসা মাত্রই শৈলকূপা থা’নার এস আই সাখাওয়াত হোসেন আমাকে ধা’ক্কা দেয়। আমি মা’টিতে পড়ে গেলে মা’রধ’র শু’রু করে। কোন কথাই বলতে দেয়নি তারা। আমি এ ঘ’টনার সাথে জড়ি’তদের দৃ’ষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করছি। তিনি আরও অ’ভিযোগ করেন, ঘট’নার দিন রাতেই শৈলকূপা থা’নার ওসি আমার ফোনে ফোন দিয়ে অ’শ্রাব্য ভাষায় গা’লিগা’লাজ করেছেন।
এ বিষয়ে শৈলকূপা থা’নার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ ঘ’টনার পর চেয়ারম্যানকে থা’নায় ডাকা হয়েছে, কিন্তু তিনি আসেননি। এদিকে এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার সাঈদ বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। ঘ’টনার ত’দন্ত চলছে। সত্যতা মিললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।